ওজন কমানোর ৫টি উপায় (5 Ways to Lose Weight)



ভুড়ি জিনিসটা সবারই অপছন্দের। সিক্স প্যাক না হোক এটলিস্ট সব রকম জামা কাপড় পরলে যাতে ভালো লাগে,অন্তত সেরকম হোক। ওয়েট লস আর হেলদি থাকা বর্তমানে আমাদের জীবনের অন্যতম একটা প্রধান সমস্যা। এই সমস্যাটা আরো বেশি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমাদের নিউট্রিশন এর ব্যাপারে ব্যাপক নলেজ। এর কারণে ওয়েট বেড়ে গেলে আমরা সবার প্রথমে আগে এটা সার্চ করি যে কিভাবে ওয়েট কমানো যায়? কিন্তু আমার মনে হয় খুব কমই এরকম লোক আছেন যারা প্রথমে আগে এটা সার্চ করেন যে ওয়েট বারার মূল কারণগুলো কি কি? রোগের আসল কারণ না জেনে যদি আমরা রোগ সারাতে বসে যাই, তাহলে সেটা ঝাড়ফুঁক তুট টাক ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না।

আজ এই blog এ সবার প্রথমে আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করব যে ওজন বাড়ার মূল কারণগুলো কী কী?তারপর আমি আপনার সঙ্গে এরকম পাঁচটি অতিসাধারণ Tips শেয়ার করব। সেগুলো ফলো করার জন্য আপনাকে নতুন করে কিছু করতে হবে না। শুধু আপনি রোজ যা করে আসছেন সেগুলোকেই একটু অন্যরকমভাবে করলেই হবে।আমি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সহকারে আপনাকে বলব কেন সেগুলো কার্যকারী। বাকিটা তো আপনি নিজেই কয়েকদিন অভ্যাস করলেই বুঝতে পারবেন।

তো চলুন শুরু করা যাক প্রথমে বলি ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে মূল চ্যাপ্টারটা কি কি ?

ওজন মেন্টেন রাখার ক্ষেত্রে একটা সিম্পল ইকুয়েশন রয়েছে CALORIES IN & CALORIES OUT ।আমরা প্রতিদিন যে সমস্ত খাবার খাই সেগুলো থেকে আমাদের শরীরের ক্যালরি সঞ্চয় হয়, এবং আমরা রোজ যে সমস্ত অ্যাক্টিভিটি গুলো করি যেমন হাঁটাচলা, বসে থাকা, এমনকি ডাইজেশন রিডিং এই সমস্ত কিছু হয় ওই সঞ্চিত ক্যালরি খরচ করে।  অর্থাৎ গাড়ির যেমন পেট্রোল, আমাদের তেমন ক্যালোরি। এখন আমরা যদি আমাদের যতটা প্রয়োজন তার থেকে বেশি ক্যালোরির খাবার গ্রহণ করতে থাকি, তাহলে সেই ক্ষেত্রে এগুলো আমাদের শরীরে বেশি ফ্যাট হিসেবে সঞ্চিত হতে থাকে। আর ফলস্বরূপ আমাদের ওজন দিন দিন বাড়তে থাকে। একই ভাবে যদি আমরা কম ক্যালরি ইন্টেক করতে থাকি তাহলে ওজন কমতে থাকে। OVER WIGHT যেমন ভালো না ঠিক তেমনি UNDER WIGHTও ভালো না। এতে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় ।

অর্থাৎ এক কথায় সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য আসল খেলাটা হলো CALORIES IN & CALORIES OUT এই প্রশ্নটার ব্যালেন্স রাখা। কিন্তু আমরা সাধারণত ভেবে থাকি, শুধু মাঠে গিয়ে দৌড়ালেই আর এক্সেসাইজ করলেই আমাদের ওজন কমে যাবে সেটা একদমই ভুল ধারণা। ওজন নির্ভর করে আপনি রোজ কি খাচ্ছেন তার উপর। আর মাত্র 10 শতাংশ নির্ভর করে আপনি রোজ কি কি অ্যাক্টিভিটি করছেন তার উপর। 

আপনার কাছে দুটো অপশন আছে নাম্বার ওয়ান আপনি একটা গোটা ক্যাডবেরি খেলে আর হাজার ক্যালোরিজ নিজের শরীরে যোগ করলেন আর তার পাশেই ক্যালোরিটা খরচ করার জন্য দেড় ঘন্টা জগিং করলেন। অথবা নাম্বার টু আপনি ক্যাডবেরি টা খুব সামান্য পরিমাণে খেলেন, ম্যাক্সিমাম দশ মিনিট জগিং করলে। চলুন দেখে নেওয়া যাক অতি সাধারন টিপস, যেগুলো পড়ে একদম সহজেই ক্যালরি ইকুয়েশনটা মেনটেন করা সম্ভব।

Tips no 1: EAT SLOWLY 


ক্যালোরিজ বেশি হওয়ার মূল কারণ বেশি খাওয়া, আর বেশি খাওয়ার অন্যতম মূল কারণ তাড়াতাড়ি খাওয়া। তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ কর তানাহলে পরে অফিস যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরবি কি? করে ছোটবেলায় কতবার যে ডায়ালগটা আমরা শুনেছি, তার কোন ঠিক নেই। আর সেই মত অভ্যাস হয়ে যায় তাড়াতাড়ি খাবার। পেট যে ভর্তি হয়ে গেসে এই সিগনালটা পেট থেকে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায় আমাদের খাওয়া শুরু করার পর থেকে কুড়ি মিনিট পর। কিন্তু আমরা বেশির ভাগই পাঁচ মিনিটেই প্লেট এর সমস্ত খাবার শেষ করে ফেলি যার ফলে ওভারহিটিং হয়ে যায় যেটা আমরা হয়তো সেই মুহূর্তে টের পায় না। এবং অজান্তেই প্রয়োজনের থেকে বেশি ক্যালরি ইন্টেক করে ফেলি। এছাড়াও SLOWLY eating আরও একাধিক উপকারিতা রয়েছে

Tips no 2: BETTER DIGETION 

অনেকেই ভাবেন DIGETION অর্থাৎ হজমের কাজ শুরু হয় পেটেl আসলে হজমের কাজ শুরু হয় আমাদের মুখের মধ্যে থেকেl যে মুহূর্তে আমরা খাবারের গন্ধ শুকি সেই মুহূর্তেই আমাদের ব্রেইন মুখে কিছু লালা রস ক্ষরণ করতে শুরু করে । যে লালা রস সবার প্রথমে ডাইজেশন এর কাজ শুরু করে।

এবার LSOW EATING এর এর ক্ষেত্রে, আমরা খাবারটা বেশিক্ষণ মুখের মধ্যে না রেখাতে, ভালোভাবে না চিবিয়ে সেটিকে গিলে ফেলার ফলে, মুখের মধ্যে ডাইজেশন এজে পার্ট ঘটা দরকার ছিল সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এরপর পেটের মধ্যে ক্ষরিত পাকরস গুলির পক্ষে সেই তাড়াতাড়ি গিলে ফেলা খাবারগুলি সঠিকভাবে ডাইজেস্ট করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যার ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না এবং বিভিন্ন পেটের অসুখ দেখা দিতে শুরু করে। এটা সাধারণ একটি অভ্যাস, যেটা ডেভলপ করার জন্য দরকার প্রাকটিস । 

Tips no 3: USE SMALLER PLATES


The Journal of the association for consumer research পাবলিশ করা একটা রিসার্চ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে প্লেটের ডায়ামিটার থার্টি পার্সেন্ট কমানো হলে Food কনজামশন থার্টি পার্সেন্ট অব্দি কমে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি শর্ত আছে :
  1. SERVE YOUR OWN FOOD (নিজের খাবার নিজেই সলভ করতে)
  2. NOT CONSCIOUS ABOUT MONITORING (কতটা খাচ্ছি সেটা যেকোন কেও মনিটর করছে বা আমি নিজে মনিটর করব এটা মাথায় রেখে খেলে চলবে না)
অত্যন্ত সিম্পল একটা জিনিসল যেটাকে ফলো করে খুব সহজেই আমরা নিজের অজান্তেই থার্টি পার্সেন্ট ক্যালরি ইন্টেক করতে পারি্ল এর থেকে সোজা ওয়েট লস টিপস আর কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।

Tips no 4: CARDIO IN EMPTY STOMACH


অনেকেই Fat lost করার জন্য সবথেকে best exercise এর খোঁজ করে। যদিও Fat lost exercise এর উপর ১০% ডিপেন্ড করে। তবু যদি আপনি জানতে চান Fat কমানোর জন্য best  exercise কোনটা? তাহলে সেটা হলো সকালে খালি পেটে যেকোনো CARDIO exercise এক্সেসাইজ করা। CARDIO exercise সে গুলোকে বলা হয় যেগুলো আমাদের heartbeat কে বাড়িয়ে তোলে। যেমন Running, swimming, skipping, and having sex। having sex যদি না হয় তাহলে বাকি গুলোর মধ্যে যেকোন একটা বেছে নিতে পারেন.

Why Cardio Exercise Best For Fat Lose?


সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যখন পেট সম্পূর্ণ খালি। সেই সময় যদি আপনি কোন CARDIO exercise করতে শুরু করেন, তাহলে আপনার হঠাৎই প্রচুর পরিমাণে এনার্জি দরকার পড়ে। আর যেহেতু পেট খালি, তখন টার্গেট হয় আগে থেকে জমিয়ে রাখা ফ্যাট। এই সময়ে ফ্যাট ভেঙ্গে বডি প্রয়োজনীয় এনার্জি সরবরাহ করা হয় যার ফলে ডাইরেক Fat lost হতে থাকে। Fat lost এর ক্ষেত্রে ভরা পেটে ওয়েট লিফটিং বা ইয়োগা করার থেকে অনেক বেটার CARDIO exercise করা।

Tips no 5: SAY NOT WATER BETWEEN MEALS


আমাদের অন্যতম একটি ক্ষতিকর অভ্যাস খাওয়ার সময় খেতে খেতে জল খাওয়া। খাবার হজম হওয়ার জন্য আমাদের পাকস্থলী তে যে পাচকরস গুলি খরিত হয় খাওয়ার সময় জল খাওয়ার ফলে জলগুলি পাচকরস গুলির সাথে মিশে গিয়ে সেগুলোর ঘনত্ব কমিয়ে দেয় যার ফলে খাবার ঠিকমতো হজম না হয়ে শরীরে শোষিত হয়ে যায় যা রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে এবং যত বেশি ইনসুলিন ততবেশি স্টোরিং। ফলে এই জিনিসটি শরীরে ফ্যাট স্টোরিংয়ের হারকে বাড়িয়ে দেয় এবং তার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগব্যাধি কেউ আমন্ত্রণ জানায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form